বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো লবণাক্ত জলের কুমিরের ওপর স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ব্যবহার
বাংলাদেশের বন বিভাগ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো ১৩ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সুন্দরবনের পানিতে দুটি লবণাক্ত জলের কুমিরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগিয়েছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল কুমিরের আচরণ, অভ্যাস এবং জীবনচক্র নিরীক্ষণ করা।
এই উদ্যোগে বাংলাদেশের বন বিভাগ এবং আইইউসিএন বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে, যাতে জার্মানির অর্থনীতি ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জিআইজেড দ্বারা পরিচালিত একটি প্রকল্পের সহায়তা পাচ্ছে।
মিহির কুমার ডো, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক, জানিয়েছেন যে বন বিভাগ ২০১৬ সাল থেকে সুন্দরবনের কারমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০০ লবণাক্ত জলের কুমির ছেড়েছে। তবে এখনো এই কুমিরগুলির বেঁচে থাকার হার এবং তাদের অভ্যাসস্থল সম্পর্কে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
ডো আরো বলেন, স্যাটেলাইট ট্যাগের মাধ্যমে তারা কুমিরের বাসস্থান, পরিসর এবং জীবনচক্র সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছেন যা ভবিষ্যতে কুমির সংরক্ষণে সাহায্য করবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে কুমিরে স্যাটেলাইট ট্যাগ ব্যবহার করছে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার পরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এবি.এম. সারওয়ার আলম, আইইউসিএন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার, জানান যে আরেকটি বন্য কুমির শীঘ্রই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারের সাহায্যে ট্যাগ করা হবে।
আলম বলেন, এই চারটি কুমির যেগুলি ট্রান্সমিটার দ্বারা ট্যাগ করা হয়েছে, তাদের বর্তমানে ভালো অবস্থায় রয়েছে। তিনটি কুমির সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং একটি কুমির ম্যাঙ্গ্রোভ বন ছেড়ে বরিশালে চলে গেছে, তবে স্যাটেলাইট তথ্য অনুসারে তা এখন ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে সুন্দরবনে ফিরে আসছে।